প্রকাশিত: Sat, Feb 10, 2024 1:27 AM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 3:13 AM

প্রধানমন্ত্রী বরাবরে সাংবাদিকতায় জাতীয় পুরষ্কার প্রবর্তনের অনুরোধ

নাঈমুল ইসলাম খান: ১. বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ দুটি জাতীয় পুরস্কার “স্বাধীনতা পুরস্কার” ও “একুশে পদক”। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, সমাজসেবা, গবেষণা, চিকিৎসাবিদ্যাসহ আরও সকল ক্যাটাগরির মধ্যে সাংবাদিকতাও রয়েছে। 

২. সরকারের সর্বোচ্চ দুটি জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি বিশেষ ক্ষেত্রে আরও কিছু জাতীয় পুরস্কার প্রদানের প্রচলন রয়েছে। যেমন সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য “বাংলা একাডেমী পুরস্কার”, নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য “বেগম রোকেয়া পদক”, কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার”, চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য “জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার”, ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য “জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার”, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য “শেখ রাসেল পদক”, শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য “শিল্পকলা একাডেমী পুরস্কার”, শিল্প ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য “বঙ্গবন্ধু শিল্প পুরস্কার” প্রদান করা হয়।   

৩. এত ক্ষেত্রে পুরস্কার/সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা থাকলেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে পৃথক কোন পুরস্কারের প্রবর্তন করা হয়নি। এর ফলে যারা নিয়মিত বহুমাত্রিক বাধা, বিঘ্ন, হুমকি, ঝুঁকি মোকাবেলা করার পাশাপাশি অনেক সাহস, পরিশ্রম ও মেধার চর্চা করে জাতীয় জীবনে বিশাল ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন বলে সর্বজনে প্রশংসিত তাদের ক্ষেত্রে একটি জাতীয় পুরস্কার/সম্মাননা আজ পর্যন্ত প্রবর্তন করা সম্ভব হয়নি। 

৪. প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক, অনলাইন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতার জন্য বাৎসরিক ভিত্তিতে জাতীয় পুরস্কারের প্রবর্তন করা এখন সময়ের দাবী।

৫. প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) ব্যবস্থাপনায় এই পুরষ্কার/সম্মাননা প্রদান আয়োজন করা যেতে পারে।

৬. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি জানেন যে, সাংবাদিকতাকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বিবেচনা করা হয়। দেশ, জাতি, গণতন্ত্র ও সুশাসনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা অতি গুরুত্বপূর্ণ। 

৭. তাই এ ক্ষেত্রে এই বছর থেকেই পৃথক জাতীয় পুরস্কার প্রবর্তন করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।